'কোন বিদেশি শক্তির পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করা কঠিন'

Worker at the Sydney Fish Markets

Source: AAP

চীনা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অস্ট্রেলিয়ান শিল্পগুলো তাদের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ওয়াইন এবং গরুর মাংস ব্যতীত বেশিরভাগ রফতানিকারী অন্যান্য আরো বাজার খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • ব্যবসায়ীরা বলছেন তারা তাদের পণ্য অন্য কোথাও পাঠাতে পারলেও, সেটি চীনে রফতানি করার মতো লাভজনক নয়।
  • চীনে রপ্তানি ২০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেলেও সেই হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান রপ্তানি মাত্র এক বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।
  • লোওই ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনে রপ্তানি হ্রাস পেলেও ভারতের মতো আরো অন্যান্য দেশে রপ্তানি বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন তারা তাদের পণ্য অন্য কোথাও পাঠাতে পারলেও, সেটি চীনে রফতানি করার মতো লাভজনক নয়।

পারিবারিক মালিকানাধীন টাইরেল ওয়াইন কোম্পানি চীনের বাজারে বছরে এক মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতো।

তবে বেইজিংয়ের বিশাল শুল্কের চাপের কারণে ওই কোম্পানির কর্ণধার ব্রুস টাইরেল বলেন যে বিক্রয় এখন আর নেই।

সংস্থাটি চীনে রপ্তানির না হওয়ার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, তারা সেলার ডোর সেল করছে এবং নতুন বিদেশী ক্রেতাদের সন্ধান করে চলেছে।
তবে পুরো শিল্পই এই ক্ষতিটি অনুভব করছে। অস্ট্রেলিয়ান ওয়াইনের মোট রফতানির প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল চীনে এবং যা বছরে ছিল এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ওয়াইনের ক্ষেত্রে এটি হতাশার হলেও তবে অন্যান্য শিল্পের জন্য কিছুটা আশার এল দেখা যাচ্ছে। যেমন যব, কয়লা, চিনি, তুলা এবং সী-ফুডের মতো শিল্প চীনকে লক্ষ্য করে গড়ে উঠেছিল।

লোওই ইনস্টিটিউট বলেছে যে ওয়াইন রপ্তানি যদি হিসাবের বাইরে রাখা হয় তবে অস্ট্রেলিয়ান রফতানিকারীরা নতুন বিদেশের বাজার সাফল্যের সাথে সন্ধান করে চীনের নিষেধাজ্ঞাকে বাস্তবে কাটিয়ে উঠেছে।

চীনে রপ্তানি ২০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেলেও সেই হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান রপ্তানি মাত্র এক বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।

লোওই ইনস্টিটিউট থেকে স্যাম রোগেভেন ব্যাখ্যা করে বলেন, অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে পারে এমন কোন বিদেশী শক্তির জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করা আসলে খুব কঠিন।

ক্ষতিগ্রস্থ বৃহত্তম রপ্তানি খাতের মধ্যে একটি হলো কয়লা।

লোওই ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে দেখা গেছে চীনে রপ্তানি হ্রাস পেলেও ভারতের মতো আরো অন্যান্য দেশে রপ্তানি বেড়েছে।
বার্লি চাষীরাও নতুন বাজার খুঁজে বের করেছেন।

বার্লি চাষি ব্রেট হোসকিং বলছেন, "আমরা বার্লির বাজারের জন্য চীনা বাজারের দিকে চেয়ে না থেকে নতুন বাজার পেতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা বিশ্বজুড়ে মল্ট বার্লি বাজারের জন্য কিছু নতুন সুযোগ সন্ধান করতে সক্ষম হয়েছি। অস্ট্রেলিয়ান মল্ট বার্লি মেক্সিকান বিয়ার শিল্পে যাচ্ছে, যা আমাদের প্রথম চালান, এটি অস্ট্রেলিয়ান চাষীদের জন্য সত্যিই এক নতুন উদ্দীপনা।"

এদিকে জাতীয় কৃষক ফেডারেশন বলছে চীন সব সময়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার থাকবে, তবে অন্যান্য দেশগুলোও অস্ট্রেলিয়ান পণ্য চায়।

জাতীয় কৃষক ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টনি মাহার বলেন, "বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ভাল খাদ্য-ফাইবার পণ্য উৎপাদনে খ্যাতি প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। সুতরাং আমরা নিশ্চিত যে আমরা অন্যান্য বাজারগুলো ধরতে পারব, অন্য বাজারগুলোতে বৈচিত্র আনতে পারব - কিন্তু তারপরেও আমরা এখনও চীনের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।

সরকার বলেছে যে তারা যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে নতুন বাজার তৈরিতে সহায়তা করছে।

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

আরো দেখুনঃ




Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand