আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নভেম্বরে তুলে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

Prime Minister Scott Morrison at the Lodge in Canberra

Prime Minister Scott Morrison at the Lodge in Canberra. Source: AAP

আগামী নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তখন পরিপূর্ণভাবে টিকাগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী অভিবাসীরা দেশে ফিরতে পারবেন। ফেরার পর তাদেরকে সাত দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা করেছেন যে, স্টেট এবং টেরিটোরিগুলো ৮০ শতাংশের ডাবল ডোজ ভ্যাকসিনেশনের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করলে, আগামী নভেম্বরের কোনো এক সময়ে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া হবে।


আগামী নভেম্বরের কোনো এক সময়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, স্টেট ও টেরিটোরিগুলো ৮০ শতাংশের ডাবল ভ্যাকসিনেশনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলে আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।

মিস্টার মরিসন বলেন, পরিপূর্ণভাবে কোভিড-টিকাগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এবং স্থায়ী অভিবাসীরা ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন এড়িয়ে যেতে পারবেন। হোটেল কোয়ারেন্টিনের জন্য মাথাপিছু সাধারণত ৩,০০০ ডলার খরচ হয়।
যারা ভ্যাকসিন নিতে পারেন না, যেমন, ছোট শিশু কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণে যারা পারেন না, তারা ঘরে কোয়ারেন্টিন করতে পারবেন।

থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টি-জি-এ) সুপারিশ করেছে যে, চীনে তৈরি সিনোভ্যাক এবং ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা অ্যাস্ট্রা জেনিকা, যা কোভিড-শিল্ড ভ্যাকসিন নামে পরিচিত, ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এগুলো “রিকগনাইজড ভ্যাকসিন” হিসেবে বিবেচিত হবে।

অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রা জেনিকা, ফাইজার, মডার্না এবং সিঙ্গেল ডোজ জনসন অ্যান্ড জনসন জেনসেন ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দিয়েছে।

ফ্লাইটে ওঠার আগে কোভিড টেস্টে নেগেটিভ হওয়ার শর্ত বজায় থাকবে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফেডারাল সরকার বলছে, ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ভ্রমণকারীদের জন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে ট্রাভেল ক্যাপ বাতিল করার বিষয়ে কাজ করবে তারা।

এসব ক্যাপের কারণে যাত্রীদেরকে ব্যয়বহুল বিমান-ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। শুধুমাত্র ট্রাভেল একজেম্পশন-প্রাপ্ত লোকেরাই অস্ট্রেলিয়ার বাইরে যেতে পারছে।
সরকারের স্পন্সর করা রিপ্যাট্রিয়েশন ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে কোয়ান্টাসের কিছু কিছু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে।

অন্যান্য বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো তাদের পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। তবে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, কাতার, ডেল্টা এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স-সহ হাতে গোণা কয়েকটি এয়ারলাইন্স তাদের পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে।

টুরিজম অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ফোরামের মার্গি অসমন্ড বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশী বিমান সংস্থাগুলোকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বিদেশে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী অভিবাসীদের মাঝে অন্তত ৪৫,০০০ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বাইরের বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর চলাচল পুরোদমে চালু করা হবে পরিপূর্ণভাবে টিকাগ্রহণকারীদের জন্য। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অন্যান্য দেশ, যেমন, নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন-ফ্রি ভ্রমণের বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার।

তিনি বলেন, যারা বিদেশে যেতে চান, তাদেরকে একটি ভ্যাকসিনেশন ডকুমেন্ট প্রদান করা হবে, যা অন্যান্য দেশগুলোতে স্বীকৃত হবে।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী নিয়ে আপনার ভাষায় বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও সহায়তা সম্পর্কিত তথ্যাবলীর জন্য দেখুন: 

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand