এর নাম হলো SpIRIT, অর্থাৎ, স্পেস ইন্ডাস্ট্রি রেসপন্সিভ ইন্টেলিজেন্ট থার্মাল। এটি একটি ন্যানো-স্যাটেলাইট, যার নকশা করা হয়েছে ফাইনাল ফ্রন্টিয়ারে, অর্থাৎ, মহাকাশের একটি বিশেষ স্থানে, অস্ট্রেলিয়ান স্পেস ইন্ডাস্ট্রিকে উৎক্ষেপণ করার জন্য। ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নের ডেপুটি প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, ড. আর্লি চ্যাপম্যান এই প্রজেক্টটি সম্পর্কে বলেন, গত কয়েক দশকের মাঝে এটি হয়তো বা সবচেয়ে বেশি উচ্চাভিলাষী অস্ট্রেলিয়ান সিভিল স্পেস মিশন।
জুতার বাক্সের আকারের এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করতে মাত্র দু’বছর লেগেছে। সেল্ফি স্টিক এবং কনস্ট্রাকশন ম্যানুয়াল-সহ এটি সুসম্পন্ন করা হয়েছে। এটাকে ইনভেস্টিগেটরগণ IKEA অ্যাসেম্ব্লি গাইড বলে অভিহিত করছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নের স্কুল অফ ফিজিক্স-এর প্রফেসর মিচেল ট্রেন্টি এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর। তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি যে গতিতে অগ্রসর হয়েছে তা থেকে বোঝা যায় যে, অস্ট্রেলিয়ান স্পেস ইন্ডাস্ট্রি কতদূর অগ্রসর হয়েছে।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
২০২৩ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি উৎক্ষেপণ করার জন্য বুক করা হয়েছে। মহাকাশে যাওয়ার পর তখন SpIRIT এর ভাঁজ করা প্যানেল খুলে যাবে।
ড. আর্লি চাপম্যান বলেন, এর বেশিরভাগ প্রযুক্তিই বিশ্বে প্রথম।
অস্ট্রেলিয়ান স্পেস ইন্ডাস্ট্রি এই প্রকল্পে প্রায় চার মিলিয়ন ডলার প্রদান করছে। তারা আশা করছে যে, ভবিষ্যতে আরও মূলধন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি একটি স্ফুলিঙ্গের কাজ করবে।
প্রফেসর মিচেল ট্রেন্টি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান স্পেস ইন্ডাস্ট্রির বিকাশের ক্ষেত্রে আগামী বছরের শুরুর দিকে SpIRIT এর উৎক্ষেপণ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি বলছে, ন্যাশনাল জিডিপি-তে এই খাতের অবদান তিন গুণ, অর্থাৎ, ১২ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যে এবং এই দশকের শেষ নাগাদ অস্ট্রেলিয়াকে একটি মহাকাশ অভিযানকারী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা কাজ করছেন।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: