ন্যাপ্লান টেস্টে যেসব স্কুল শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের সাফল্য ইংরেজিভাষী শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি

Teacher Going over Exam Instructions

Source: Corbis Documentary RF

ন্যাপ্লান টেস্টে যেসব স্কুল শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের সাফল্য ইংরেজিভাষী শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি। সর্বশেষ ডাটা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ন্যাশনাল ন্যাপ্লান রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে বহুভাষিক এবং ইন্ডিজিনাস শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অনেক উন্নতি করছে, তবে কেউ কেউ বলছেন যে পুরো বোর্ডের ফলাফল ভালো নয়, এবং তারা পরীক্ষার ফলাফলের যে নূন্যতম মানদন্ড ধরা হয়েছে তা আরো বাড়ানো আহবান জানিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য, বিশেষ করে সেকেন্ডারি স্কুলে ন্যাশনাল মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বা জাতীয় ন্যূন্যতম মান আরো বাড়ানো প্রয়োজন। প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের লিংকটিতে ক্লিক করুন


চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী পিয়া গোয়েঙ্কা ইতিহাস এবং ইংরেজি পড়তে ভালোবাসে।

বানানে পারদর্শী আট বছরের পিয়া বলছে যে বাড়িতে তার হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষার ব্যবহার স্কুলে তাকে ভালো ফল করতে সাহায্য করেছে।

পিয়া বলছে যে ন্যাপ্লান টেস্টের সময় তার দুটি ভাষায় কথা বলতে পারা তাকে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়। 

পিয়ার মতো শিক্ষার্থীদের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ বটে - তারা ইংরেজি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে না এসেও এই চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছে এবং প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করছে। 

গত মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ন্যাপ্লান পরীক্ষার ন্যাশনাল রিপোর্টে দেখা যায় যে ২০১৯ সালে  তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম এবং নবম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থীরা বানানে  এবং পঞ্চম ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা গণিতে তাদের ইংরেজিভাষী সহপাঠীদের চেয়ে ভালো করেছে।

পিয়ার স্কুল সেইন্ট ভিন্সেন্ট'স প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষক আমান্ডা জার্মানোস বলেন, এই ফলাফলে তারা বিস্মিত নন। 

মিজ জার্মানোস বলেন, এই শিক্ষার্থীরা সাফল্যের জন্য সব সময় মুখিয়ে থাকে - যা তাদের পড়ানোর কাজটা কিছুটা সহজ করে দেয়।

এই রিপোর্ট থেকে ইন্ডিজিনাস শিক্ষার্থীদের ফলাফলের একটি ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে - ২০০৮ সালে ন্যাপ্লান শুরুর সময় থেকে অদ্যাবধি তাদের উন্নতি দ্বিগুন হয়েছে। 

তবে সামগ্রিক ভাবে সাধারণ জনগণের তুলনায় অনেক জায়গাতেই তারা বেশ পিছিয়ে আছে। 

অস্ট্রেলিয়ান কাররিকুলাম, এসেসমেন্ট এন্ড রিপোর্টিং অথরিটি প্রধান ডেভিড ডি কার্ভালহো বলেন,  সঠিক পথেই তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

মি: ডি কার্ভালহো বলেন, বয়স ভিত্তিক গ্রুপের বিবেচনায় পুরো বোর্ডে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে ভালো ফল করেছে। 

মি: ডি কার্ভালহো বলেন, উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে সেকেন্ডারি স্কুলের ফলাফলে উন্নতি হচ্ছেনা, এর জন্য আরো বিশ্লেষণ এবং গবেষণা দরকার। 

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য,  বিশেষ করে সেকেন্ডারি স্কুলে ন্যাশনাল  মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বা জাতীয় ন্যূন্যতম মান আরো বাড়ানো প্রয়োজন। 

গ্রাটান ইনস্টিটিউট-এর স্কুল এডুকেশন প্রোগ্রামের ডিরেক্টর  ডঃ পিটার গোস ব্যাখ্যা করেন যে,  এ ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জটি আছে তা হলো ফলাফলের মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড;  যেটা আছে তা খুবই কম।  নবম শ্রেণীতে পড়া একজন শিক্ষার্থী যদি পঞ্চম শ্রেণীর গড়পড়তা মান অর্জন করে তবে সহজেই সে তার মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড পেরিয়ে যেতে পারবে। তাই এটা কোন বড়ো বাধা নয়, এটা আরো বাড়ানো প্রয়োজন।

এডুকেশন মিনিস্টার ড্যান টেহান বলেন, সরকার স্কুলের ফলাফলে আরো উন্নতির জন্য কিছু পরিবর্তন আনছে, এতে থাকছে কারিকুলাম রিভিউ এবং পাঠদান পদ্ধতির আবশ্যিক বিষয়গুলো। 

এ বছরের মে মাসে  ন্যাপ্লান টেস্ট শুরু হচ্ছে,  এবারও পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে হবে যা ২০২১ থেকে পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে। 


Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand