স্কুলে পীড়নের শিকার হয় প্রতি চার জনে একজন অস্ট্রেলিয়ান শিশু

A sad and left-out ethnic high school student leans against a panel of lockers with her eyes closed, head down, and hands clasped to her knees.

¿Qué puedo hacer si mi hijo sufre acoso en la escuela? Source: Getty Images

স্কুলে বুলিং বা পীড়নের শিকার হয় প্রতি চার জনে একজন অস্ট্রেলিয়ান শিশু। আপনার সন্তান যদি পীড়নের শিকার হয় কিংবা নিজেই পীড়নকারী হয়, অভিভাবক হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কঠিন। বুলিং বন্ধ করতে অভিভাবকরা কী ভূমিকা পালন করতে পারেন? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?


দুর্বল কাউকে ইচ্ছে করে ক্রমাগতভাবে পীড়ন করাকে বুলিং বলা হয়। Alannah & Madeline Foundation এর সিনিয়র অ্যাডভাইজার জেসি মিচেল বলেন, বিভিন্নভাবে বুলিং করা যায়।
যে কোনো স্থানে বুলিংয়ের ঘটনা ঘটতে পারে, বলেন তিনি। তবে, তার মতে, স্কুলে এটা বেশি ঘটতে দেখা যায়।
Kids Helpline কাউন্সেলর Belinda Beaumont বলেন, এটি বোঝা দরকার যে, সাইবার বুলিং অনেক ক্ষতিকর।
Bully Zero এর সিইও Andre Carvalho বলেন, অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন, আপনার সন্তান হয়তো বা আপনাকে বলবে না যে, কী ঘটছে।
শিশু বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য তার আচরণে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা তা দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
আপনার সন্তান যদি বলে যে, সে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, তা হলে সেক্ষেত্রে উত্তেজিত না হয়ে শান্তভাবে সেটি গ্রহণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তখন তাকে বলুন যে, আমাকে এ কথা জানিয়ে তুমি ঠিক কাজই করেছো।
তখন তার কাছে আসলে কী ঘটেছে তা জিজ্ঞাসা করুন। তাকে বলুন, বুলিং করা ঠিক নয়। তাই মন খারাপ করাটা স্বাভাবিক।
জেসি মিচেল পরামর্শ দেন, শিশুদেরকে এটা বলতে যে, তাদের সঙ্গে বুলিংয়ের করা হলে তারা যেন রাগ না হয় এবং আগ্রাসী আচরণ না করে। কারণ, এ রকম পাল্টা জবাব দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আপনার সন্তানের স্কুলের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করতে হবে এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সেজন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং মেইন টিচারের মতো কোনো স্টাফ মেম্বারের সঙ্গে কথা বলুন, যে আপনার সন্তান সম্পর্কে ভাল জানে।
আপনার সন্তান যা যা বলেছে তা নোট করে একটি তালিকা তৈরি করুন এবং সেটা সেই মিটিংয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত স্কুলেই বুলিং-বিরোধী নীতিমালা রয়েছে। তাই, মিটিংয়ের আগে সেই নীতিমালা সম্পর্কে পড়ুন।
স্কুলের শিক্ষকরাও চান বুলিং বন্ধ করতে। কাজেই আপনারা একই লক্ষ্যে কাজ করছেন।
আর, বুলিংয়ের ঘটনা যদি অনলাইনে ঘটে, তাহলে যে ওয়েবসাইটে এটি ঘটে সেখানে এ সম্পর্কে রিপোর্ট করুন। যেমন, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুক।
সেখান থেকে যদি সেই কন্টেন্ট বা আধেয় সরানো না হয়, তাহলে ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান যে-রকম বলেন, আপনি এ সম্পর্কে esafety.gov.au তে রিপোর্ট করতে পারেন।
বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পরিবর্তে আপনার সন্তান নিজেই নিপীড়নকারী হতে পারে।  এক্ষেত্রে, শান্তভাবে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে বলা হচ্ছে।
Bully Zero এর সিইও  Andre Carvalho বলেন, আপনাকে এটা পরিষ্কার করতে হবে যে, বুলিং গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আপনি এটা বোঝার চেষ্টা করুন যে, আপনার সন্তান কেন এ রকম ব্যবহার করছে।
কী ঘটছে তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো প্রয়োজন। তাদের সঙ্গে মিলে কাজ করুন। আপনার সন্তান যদি বুলিংয়ের শিকার হয়ে কিংবা নিজেই নিপীড়নকারী হয় তাহলে কোনো কাউন্সেলর বা কিডস হেল্পলাইনের সঙ্গে তাদের কথা বলা দরকার।
অভিভাবক হিসেবে বুলিং সম্পর্কে আপনি কিডস হেল্পলাইনে এবং প্যারেন্টলাইনে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। প্রয়োজন হলে সেখানে দোভাষীর সুবিধাও পাওয়া যায়।
 
বুলিং এবং অনলাইন সেফটি নিয়ে নতুন এসবিএস টিভি সিরিজ দেখুন।

চার পর্বের এই ড্রামা সিরিজ বৃহস্পতিবার রাত ৮.৩০ এ এসবিএস-এ দেখানো হয়।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .





Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand